পাবনার সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর, গুলি ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নৌকা প্রতীকের ওই প্রার্থীর নাম মঞ্জুরুল ইসলাম।
তার দাবি, শুক্রবার রাত ১টার দিকে তার তিনটি অফিসে হামলা হয়। এ জন্য তিনি দুষছেন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিন মালিথা এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকা প্রতীক না পেয়ে আলাউদ্দিন দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি আঁতাত করেছেন জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ঘোষপুর, নাজিরার ও হেমায়েতপুর মোড়ে আমার নির্বাচনি অফিসে হামলা চালিয়েছে তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেল প্রতীকের জাহাঙ্গীর ও আনারস প্রতীকের আলাউদ্দিন টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন। বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানিয়েছি।’
এসব অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
আনারস প্রতীকের আলাউদ্দিন মালিথা বলেন, ‘অযোগ্য ব্যক্তি দলের মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয়দের দাবির মুখে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করছি। জনসমর্থন না পেয়ে নৌকার প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এর সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
হেমায়েতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) নাজমুল হক বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’