বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমপি প্রার্থী এবার লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:২৮

গৌরীপুরের দুই ইউনিয়নে রয়েছেন এমন প্রার্থী। তাদের একজন গোলাম মোহাম্মদ স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন মাওহা ইউনিয়ন থেকে। অন্যজন শামসুজ্জামান জামাল সহনাটি ইউনিয়নে লড়ছেন জাতীয় পার্টির ব্যানারে।

ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে একসময় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন, কিন্তু জয়ের দেখা পাননি। ফের নেমেছেন ভোটের লড়াইয়ে। তবে এবার লড়বেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে।

গৌরীপুরের দুই ইউনিয়নে রয়েছেন এমন প্রার্থী। তাদের একজন গোলাম মোহাম্মদ স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন মাওহা ইউনিয়ন থেকে। অন্যজন শামসুজ্জামান জামাল সহনাটি ইউনিয়নে লড়ছেন জাতীয় পার্টির ব্যানারে।

এক সময়ের সংসদ নির্বাচনের দুই প্রার্থী ইউনিয়ন পর্যায়ে ভোটের লড়াইয়ে নামায় তাদের নিয়ে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য তাদের দাবি, জনগণের সমর্থনেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তারা।

গোলাম মোহাম্মদ উপজেলা জাকের পার্টির সহসভাপতি। তিনি ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো মাওহা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০০৮ ও ২০১৮ সালে জাকের পার্টির প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তবে জয়ের দেখা পাননি।

সংসদ সদস্য প্রার্থী থেকে এবার ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কারণ জানতে কথা হয় গোলাম মোহাম্মদের সঙ্গে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। তবে জনগণ নাছোড়বান্দা। আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব, এমন ভরসা থেকেই জনগণ চাচ্ছে আমি প্রার্থী হই। এ জন্য জনগণের প্রত্যাশা পূরণসহ ইউনিয়নের উন্নয়ন করতে প্রার্থী হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

অন্যদিকে শামসুজ্জামান জামাল জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক। নব্বইয়ের দশকে তিনি সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০০৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

পরে ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কাছে হেরে যান শামসুজ্জামান।

সংসদ সদস্য প্রার্থী থেকে এবার ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর কারণ জানতে চাওয়া হয় শামসুজ্জামানের কাছেও।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েও সব সময় জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। অসহায় লোকদের পাশে থেকে যথাসম্ভব সহায়তা করেছি। হয়তো সংসদ সদস্য হওয়ার আশা পূরণ হয়নি। তবে জনগণ চাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েই যেন মানুষের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করতে পারি৷ এ জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি।’

শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমার কাছে সংসদ নির্বাচন কিংবা ইউপি নির্বাচনটা মুখ্য নয়। জনগণ যদি ভোট দিয়ে জয়ী করে, তাহলেই মন থেকে তৃপ্তি পাব। নির্বাচিত হলে প্রথমে আমার ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করব। জনগণের সেবায় নিয়োজিত থেকে আগের চেয়ে বেশি কাজ করতে পারব।’

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে আগামী ২৬ ডিসেম্বর গৌরীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিভাগের আরো খবর