জাতীয় সংসদে রাজাকার সন্তানের প্রতিনিধিত্ব অমর্যাদার বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রাজাকারের সন্তানদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক ও বিব্রতকর।
বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শনিবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের সন্তানরা নির্বাচিত হলে তাদের প্রতিহত করার সুযোগ থাকে না। তাই সাধারণ মানুষকে রাজাকারের সন্তানদের ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেও রাজাকারের তালিকা প্রকাশ না হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন না করা দলগুলো। ফলে দেশের সব সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ব্যক্তিরা খুঁটি গেড়ে বসে।
‘তারা রাজাকারের তালিকা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে রাজাকারের তালিকা তৈরির জন্য সংসদে আইন প্রস্তাব করা আছে। এটি অনুমোদিত হলে রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বরগুনা জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানের শেষ দিন বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে ১২ শ’ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেয় জেলা প্রশাসন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর।
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমের মধ্যে ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর নেয়া ও অর্থ সহায়তা দেয়া, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা, হতদরিদ্র মানুষকে অর্থ সহায়তা এবং ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ।