বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে ধানমন্ডিতে।
শোভাযাত্রা শনিবার দুপুর ২টায় শুরুর কথা ছিল, তবে তা শুরু হয় বেলা সাড়ে ৩টার পর। শেষ হয় সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে।
থানা-ওয়ার্ডের আলাদা ব্যানারে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে ধীরে ধীরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে যান।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। একে কেন্দ্র করে মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু বিজয় শোভযাত্রার উদ্বোধন করে বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। অসাম্প্রদায়িক শক্তি থেমে নেই। তাদের রুখে দিতে সবাইকে এক থাকতে হবে।
বিজয় শোভাযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। এতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
তাদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা, নৌকা, বাদ্যযন্ত্র। তারা বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান।
নেতা-কর্মীদের এ যাত্রায় আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
বিজয় শোভাযাত্রা বাস্তবায়ন নিয়ে শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বিজয় শোভাযাত্রা সফল করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘ঐতিহাসিক বিজয় শোভাযাত্রার জন্য জনগণের যে ট্রাফিক অসুবিধা হবে তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা ঢাকার জনগণকে এই বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
নানক জানান, ঢাকার উত্তর প্রান্ত থেকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতিরঝিল, মগবাজার ও মৎস্য ভবনের সড়ক এবং ঢাকার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আগতদের গুলিস্তান, হাইকোর্ট মাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ক ব্যবহার করতে হবে।
সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে বিঘ্ন না হয়, সেদিকটা মাথায় রেখে নেতা-কর্মীদের শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা। সেই সঙ্গে শোভাযাত্রাটি বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন এবং বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সাংগঠনিক নির্দেশনাও দেয়া হয় বৈঠক থেকে।