বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁধ ধসে দুর্ভোগ ৫ ইউনিয়নের মানুষের

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:২০

তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও গ্ৰামের তাইজুল ফকির বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। এত দিন কষ্ট করে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে পারলেও এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। মেয়েকে নিয়ে অতিরিক্ত ৪ কিলোমিটার ঘুরে স্বর্ণঘোষ হয়ে স্কুলে ও নিজের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। 

শরীয়তপুর পৌরসভার হাজরাসার এলাকায় সড়ক রক্ষা বাঁধ ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫ ইউনিয়নের মানুষ। বিকল্প পথে বাড়তি সময় ও টাকা খরচ করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে তাদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হবে। সেই সঙ্গে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে।

শরীয়তপুর শহরের সঙ্গে তুলাসার, বিনোদপুর, মাহমুদপুর, চন্দ্রপুর ও চিকন্দি ইউনিয়নের যাতায়াত সহজ করতে প্রায় তিন দশক আগে শরীয়তপুর-চন্দ্রপুর সড়ক নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

কীর্তিনাশার ভাঙনে ২০১৭ সালে পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজরাশার, রাজগঞ্জ এলাকার সড়কের অন্তত ৩০০ মিটার অংশ বিলীন হয়।

বিভিন্ন সময় সড়কের পাশে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ছোট যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল সড়কটি। চলতি বছর বর্ষায় নতুন করে বিলীন হয়ে যায় বাঁধসহ সড়কের ১২০ মিটার অংশ।

৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধটি পুনরায় সংস্কার করে যান চলাচল সচল রাখার ব্যবস্থা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শরীয়তপুর পৌরসভা।

সবশেষ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বাঁধের মাটি সরে যায়। বুধবার হঠাৎ বাঁধের ৪০ মিটার ধসে যায়। এতে বন্ধ আছে যান চলাচল। ফলে শহরের সঙ্গে যোগাযোগে দুর্ভোগে পড়েছেন পাঁচ ইউনিয়নের মানুষ।

তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও গ্ৰামের তাইজুল ফকির বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। এত দিন কষ্ট করে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে পারলেও এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। মেয়েকে নিয়ে অতিরিক্ত ৪ কিলোমিটার ঘুরে স্বর্ণঘোষ হয়ে স্কুলে ও নিজের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।

চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ফুলমতি বেগম বলেন, বাড়ি থেকে অসুস্থ মাকে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এসে দেখি সড়কটি ভেঙে আছে। বিকল্প সড়কে অতিরিক্ত পথ ঘুরে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, সড়কটি পৌরসভার ভেতরে থাকলেও এলজিইডির অধীনে হওয়ায় সংস্কারে জটিলতা আছে। তারপরও জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংস্কারে পৌরসভা একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি ব্যবহার উপযোগী করা হবে।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব নিউজবাংলাকে বলেন, বর্ষায় ভাঙনের কবলে পড়া সড়কটি রক্ষায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। ভারি বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গিয়ে বাঁধের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বাঁধটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ছাড়া কীর্তিনাশার উভয় তীর রক্ষায় ৩১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ কিলোমিটার এলাকা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ হলে এই এলাকা ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

এ বিভাগের আরো খবর