ফেনীর সোনাগাজীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারচুপি হলে আত্মহত্যা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
সদর ইউনিয়নের চর খোয়াজ গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে শুক্রবার সন্ধ্যায় শামসুল আরেফিন এ ঘোষণা দেন।
তিনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দুদিন আগে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমি এই ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান। এবার আমাকে হারানোর জন্য আওয়ামী লীগের বর্তমান লোকজন কারচুপি করার নীল নকশা তৈরি করেছে।
‘আমি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ছিলাম। কখনও মনোনয়ন বাণিজ্য করিনি। সেই সামর্থ্যও নেই। এবার যারা টাকা দিয়েছে তারা মনোনয়ন পেয়েছে। তাদের কাছে হার আমি কোনোভাবেই মানতে পারছি না। এ জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি। আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে শনিবার লিখিত বক্তব্য পাঠাবেন বলে জানান শামসুল।
গত দুই বারের মনোনয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিয়েছে। এবার নতুন নিয়ম করেছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারির ভোটে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাদের টাকা খাইয়ে ভোট অন্যদিকে নিয়েছে।’
২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে উম্মে রুমাকে।
টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তৃণমূলের ভোটে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। শামসুল আরেফিন নির্বাচনে পরাজিত হবেন মনে করে এখন এসব কথা বলছেন। তার কোনো জনসমর্থন বা কর্মী নেই।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘শামসুল আরেফিনের পক্ষে কোনো কর্মী বা সমর্থক না থাকায় তিনি এখন আবোল-তাবোল বলছেন। নির্বাচনের এখনও অনেক দিন বাকি। তিনি কীভাবে বুঝতে পারলেন কারচুপি হবে? ফেনীতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে কারচুপি হয়নি, হবেও না।’