বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মায়ের জন্য শুরু যে ছাদবাগান

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:২৫

বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ও নানা ধরনের পরিত্যক্ত পাত্রে অ্যালোভেরাগাছ লাগিয়েছেন সাগর হোসেন মাতুব্বর। তেমন কোনো খরচ ছাড়াই এই বাগান দিনে দিনে বড় হচ্ছে।

পড়াশোনা ও চাকরির পাশাপাশি শখের বশে অ্যালোভেরা চাষ করছেন সদর উপজেলার সাগর হোসেন মাতুব্বর। তার ছাদবাগানে আছে অর্ধশতাধিক গাছ। সেই সঙ্গে আছে প্রায় শতাধিক চারা গাছ।

একতলা ভবনের ছাদে সাগর গড়ে তুলেছেন অ্যালোভেরার বাগান।

তবে এ ছাদবাগানের শুরুটা শখে ছিল না; মাকে সুস্থ রাখার তাগিদ থেকেই অ্যালোভেরা লাগাতে শুরু করেন সাগর।

তিনি বলেন, ‘অ্যালোভেরাগাছ লাগানোর শুরুটা ছিল আমার মায়ের অসুস্থতার জন্য। ২০২০ সালের শেষের দিকে মা পেটব্যথাসহ নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আমার এক পরিচিত ডাক্তার বলেন, মাকে অ্যালোভেরার শরবত খাওয়াতে। তখন অ্যালোভেরা বাজার থেকে কিনে এনে মাকে শরবত খাওয়াতাম। কখনও কখনও বাজারে অ্যালোভেরা পাওয়া যেত না। তা ছাড়া প্রতিদিন কিনতে সমস্যায়ও পড়তে হতো।

‘সেই সময় আমার চাচা আওলাদ হোসেন মাতুব্বরের পরামর্শে ও তার নির্দেশনায় দুটি চারাগাছ দিয়ে অ্যালোভেরা লাগানো শুরু করি। মা অ্যালোভেরার শরবত খেয়ে অনেক উপকার পান। এতেই গাছ লাগাতে উৎসাহ পাই। এখন শখের বসেই এ গাছ লাগাই।’

পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ও নানা ধরনের পরিত্যক্ত পাত্রে তিনি লাগিয়েছেন অ্যালোভেরা গাছ। তেমন কোনো খরচ ছাড়াই এই বাগান দিনে দিনে বড় হচ্ছে।

সদর উপজেলার পানিছত্র টিবি ক্লিনিক সড়কের হিজলতলা মসজিদসংলগ্ন এলাকার মাসুদুর রহমান খোকন ও ইরা বেগমের ছেলে সাগর। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করেন। বর্তমানে কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনার কাজ করছেন তিনি।

সাগর বলেন, ‘আমার পড়াশোনা ও চাকরি করার জন্য অনেক সময় গাছের যত্ন নিতে পারি না। সে ক্ষেত্রে আমার ছোট ভাই রায়হান সজল ও সোহান এবং বোন হুমায়রা জান্নাত শোভা অ্যালোভেরা গাছের যত্ন নেন। বড় গাছের পাশ দিয়ে নতুন চারা হয়। তখন সেই চারা তারা বিভিন্ন টবে রোপণ করেন। মাত্র দুটি গাছ নিয়ে ছাদবাগান শুরু করলেও এখন আমার বাগানে অর্ধশতাধিক বড় গাছ ও শতাধিক চারা গাছ আছে।’

সাগরের ভাই রায়হান সজল বলেন, ‘বিভিন্ন কাজের জন্য গাছের যত্ন নেয়া সম্ভব হয় না। তবে নিয়মিত যত্ন নিতে পারলে এগুলো আরও বেড়ে উঠত। তবে যে কেউ ইচ্ছা করলেই ছাদে, বারান্দায় বা বাড়ির উঠানে অ্যালোভেরার বাগান করতে পারেন। এই অ্যালোভেরা যেমন উপকারী তেমনি এটি বিক্রি করেও লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে আমরা এখনও বিক্রি শুরু করিনি। কারও প্রয়োজন হলে তাকে বিনা মূল্যেই দিয়ে থাকি। এতে মানুষের অনেক উপকার হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অফ নেচারের প্রতিষ্ঠাতা রাজন মাহমুদ বলেন, ‘সাগরের এই ছাদ বাগান দেখে অনেকেই উৎসাহ পাবেন। অ্যালোভেরা সৌন্দর্যচর্চার পাশাপাশি একটি ঔষধি গাছ হিসেবে কাজে লাগে।

‘তা ছাড়া যে কেউ চাইলে অ্যালোভেরা চাষ করে তা বিক্রি করে আয়ও করতে পারবেন। ছোট ছোট টবে এই গাছগুলো লাগানো যায়। বাজার থেকে টব না কিনে ঘরে থাকা প্লাস্টিকের বোতল বা পরিত্যক্ত কোনো পাত্রে এই গাছ লাগানো যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর