বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে সাবেক শিক্ষার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা বসেছিলাম । উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে সাবেক এক নারী শিক্ষার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডেইরি গেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের (উইকেন্ড) সাবেক নারী শিক্ষার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইআইটি) ৪৮ ব্যাচের সাবরিনা সিদ্দিকী অদিতি, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ রহমান খান, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ বিশ্বাস ও তাদের কয়েকজন অনুসারী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসিফ ও দীপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হলের সভাপতির পর্ষদের ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। ঘটনার সময় আসিফ দীপকে ফোন দিয়ে ডেকে নেন। দীপ বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের জুনিয়রদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে তারাই গাড়ি ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে গাড়ির ড্রাইভারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের এক কোণে নিয়ে হেনস্তা করা হয়।

ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রক্টরিয়াল টিম ইংরেজি বিভাগের কনফারেন্স রুমে দুইপক্ষকে নিয়ে বসে। এ সময় উভয়পক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়।

সাবেক ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘সনদপত্র উত্তোলনের জন্য ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় ডেইরি গেটে গাড়ির ড্রাইভার হর্ন বাজান। শিক্ষার্থীদের পাশ কাটিয়ে গাড়িটি সামনে গেলে পেছন থেকে এক শিক্ষার্থী সামনের গ্লাসে হাত দিয়ে আঘাত করলে ড্রাইভার গাড়ি থামান।’

তিনি জানান, গাড়ি থামালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখতে চান এবং মা সম্পর্কে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিলে তারা আরও ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কর্মকর্তারা নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে তিনি এবং তার মা গাড়ি থেকে বের হন। এরই মধ্যে ওই ছাত্রলীগ কর্মীরা ও তাদের সহপাঠীরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন।

অভিযুক্ত সাবরিনা সিদ্দিকী অদিতি বলেন, ‘বন্ধুদের নিয়ে ডেইরি গেটে ছিলাম। এ সময় একটি গাড়ি আমাদের গাঁ ঘেষে চলে যায়। তখন আসিফ ভাই গাড়িটি থামান। গায়ে ঘেঁষে যাওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন। তখন গাড়ির ড্রাইভার ও ভেতরে থাকা নারী আমাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে ওই নারী অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং গাড়িতে থাকা মেয়েটি ইংরেজি বিভাগে আমাদের ডেকে নেয়ার হুমকি দেন। মেয়েটি গাড়ি থেকে নামলে ক্ষমা চাওয়ার অজুহাতে আমার হাত চেপে ধরেন। তখন আমার চুড়ি ভেঙে হাত কেটে যায়। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।’

অভিযুক্ত আসিফ রহমান খানও একই বর্ণনা দেন। তবে আরেক অভিযুক্ত দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি গাড়ি ভাঙচুরের সময় ছিলাম না। তবে ঘটনার পর বন্ধু আসিফ আমাকে ফোন দেয়। প্রক্টরিয়াল বডি উভয়পক্ষের অভিযোগ শোনার সময় সেখানে যাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমি ও রাসেল মিঞা স্বাধীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। গাড়িতে থাকা দুজনকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে তারা গাড়ি থেকে নেমে আসেন। তখন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাদের গাড়ি ভাঙতে শুরু করে। আমরা কয়েকজন থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারিনি।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা বসেছিলাম । উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। উভয় পক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর