শিশুটির নাম আসিফ। বয়স সাত বছর। মা মারা গেছেন ক্যানসারে। এরপর বাবা করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে। তখন থেকেই আসিফের দুঃখ-কষ্ট শুরু। পেটপুরে খাবার তো দূরে থাকা, নানা ধরনের নির্যাতন সইতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত সন্তানকে তার কাছে রাখেননি বাবাও। হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের সালথায় রাতের আঁধারে ফেলে রেখে যান তিনি।
বুধবার বিকেলে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে অসুস্থ অবস্থায় শিশু আসিফকে কুড়িয়ে পান রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামের সুমন মাতুব্বর। তিনি আসিফের সব কথা শুনে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সুমন মাতুব্বর বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই। কাছে গিয়ে তার বিস্তারিত কথা শুনে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। খাবার ও স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করি।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সালথা থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সালথা থানার ওসি সাহেবের কাছে একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে আসিফকে হস্তান্তর করা হয়। ওসি সাহেব আসিফের পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রথমে শিশুটিকে উদ্ধারকারী সুমন মাতুব্বরের মাধ্যমে থানায় আনার পর আসিফের বিস্তারিত কথা শুনে আমি নিজেই ওর দায়িত্ব নিয়েছি। আপাতত শিশুটি থানায় আছে। থানায়ই তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার একটি সঠিক ব্যবস্থা ও অভিভাবকদের খোঁজখবর নেয়া হবে।’