বাগেরহাটের মোংলায় বিদেশি জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া একটি কয়লাবোঝাই বাল্কহেডের নিখোঁজ বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার প্রায় এক মাস পর শুক্রবার দুপুরে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটির রান্নার কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া জিহাদ হোসেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে।
মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ মুখার্জি বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর রাতে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ১২ নম্বর অ্যাঙ্কোরেজ এলাকায় একটি বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায় সাড়ে ৬০০ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় ‘ফারদিন-১’ নামের বাল্কহেডটি। ঘটনার পর ওই বাল্কহেডের দুজন স্টাফকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় তিনজনের মরদেহ।’
তিনি জানান, দুজন নিখোঁজ থাকা অবস্থায়ই অভিযান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ১২ ডিসেম্বর বাল্কহেডের কয়লা অপসারণের কাজ শেষ করেন মালিক পক্ষের লোকজন। কয়লা উত্তোলন শেষে শুক্রবার বাল্কহেডটি উপরে তোলার কাজ করছিলেন মালিক পক্ষের লোকজন।
এসআই জানান, এদিন দুপুরে ডুবুরিরা বাল্কহেডটি উত্তোলন কাজের জন্য ভেতরে ঢুকলে এটির রান্নার কক্ষে মরদেহটি দেখতে পান। উদ্ধার করা মরদেহটি জিহাদের বলে তার ফুফাতো ভাই মো. বাদল শনাক্ত করেছেন। বাল্কহেডটির চালক পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার মো.মহিউদ্দিন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।