ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অস্থায়ী কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের এ ঘটনায় পুড়ে গেছ ওই ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।
কুতুবা ইউনিয়নের মানিকার হাট-বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের এই অস্থায়ী কার্যালয়। এটি এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়ার নির্বাচনি অফিসও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে শাটার ভেঙে দুর্বৃত্তরা এই কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বাজারের পাহারাদার ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আগুন নেভায়।
কুতুবা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়া বলেন, ‘২০০৮ সালে মানিকার হাট-বাজারে এই ঘরটা ভাড়া নিয়ে আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস চালাচ্ছি। তিন-চার মাস ইউনিয়ন পরিষদের নির্মাণকাজ চলায় ওইখানের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আমার এই অফিসে নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘এবার চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে এই ইউনিয়ন থেকে আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী। এই সুবাদে আমি আমার নির্বাচনি কার্যক্রমও এই অফিস থেকে করে থাকি।’
আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের কাজী মো. কামালের কর্মীরা আমার অফিসের চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। তার পরই রাত ৩টার দিকে আগুনের খবর পাই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি বোরহানউদ্দিন থানায় জানিয়েছি। পুলিশ এসেছে, তদন্ত করছে। ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি এসে দেখে গেছেন।’
এদিকে অভিযুক্ত আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী মো. কামালের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে আগুনের ঘটনা আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।