বাগেরহাটের রামপালে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম ফিরোজ ঢালী। ৪৫ বছরের ফিরোজের বাড়ি উপজেলার কাষ্টোবাড়িয়া এলাকায়।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রামপাল উপজেলার কাদিরখোলা এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফিরোজের সঙ্গে থাকা আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন।
তিনি জানান, নিহত ও আহতরা সবাই রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামুর অনুসারী।
সাবেক চেয়ারম্যান জামিলের অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন তার কর্মীদের ওপর এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমাকে বাড়ির গেটে নামিয়ে দিয়ে ফিরোজ ঢালীসহ চারজন দুটি মোটরসাইকেলে করে কাদিরখোলা এলাকায় ফিরোজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল।
‘কিছু দূর যাওয়ার পর বেলাল ব্যাপারী, বেলালের ভাই বাকিসহ ৩০ থেকে ৪০ জন ফিরোজদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারপিট করে। এতে তারা জ্ঞান হারালে হামলাকারীরা রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়।’
তিনি জানান, আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল ঝনঝনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফিরোজ ও হানিফ নামে আরেকজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ ঢালী মারা যান।
আহত হানিফকে হাত-পা ভাঙা অবস্থায় সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা রামপাল ঝনঝনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে বেলাল ব্যাপারী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় জামুরের লোকেরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। সেই জেরে আমার লোকেরা ফিরোজের ওপর হামলা করে। তবে মারা গেছে কি না আমি জানি না।’
এ বিষয়ে রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার আগে জামিল হাসান জামুর লোকেরা বেলাল ব্যাপারী লোকদের ওপর হামলা করেছিল বলে শুনেছি।’
নিউজবাংলাকে রামপাল থানার ওসি বলেন, ‘প্রভাব বিস্তারের জেরেই এই সংঘর্ষ। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।