বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বার্ধক্য রুখে দিতে আসছে টিকা

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৫৪

ইঁদুরের দেহে একটি পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগের ফলে তার দেহে বার্ধক্যের জন্য দায়ী কোষগুলোকে নির্মূল করা গেছে। মিনোসোটা ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অন দ্য বায়োলজি অফ এজিংয়ের বায়োক্যামেস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজির অধ্যাপক পল রবিন্স বলেন, ‘আমরা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি তা আমাদের কার্যাবলীকে প্রমাণ করতে যথেষ্ট। তিনি আশাবাদী যে, একই পদ্ধতি মানুষের ওপরও কাজ করবে।’

বয়স বাড়বে, তবে আপাতচিন্তায় বুড়ো হবেন কেবল ক্যালেন্ডারের পাতায়। শরীরে থাকবে না বার্ধক্যের নমুনা। হয়তো বার্ধক্য বলতে মানসপটে যত বয়স ভেসে আসে, সেই ধারণাটাই পাল্টে যাবে।

৬০ বছর বয়সে তারুণ্যের শরীর পাওয়া যাবে- এমন চেষ্টায় একটি টিকা আনার কাজ চলছে। কাজটা অনেক দূর এগিয়েও গেছে, যে কারণে স্বপ্নটা বেশ বড়ই হচ্ছে।

বিজ্ঞানবিষয়ক পিআর রিভিউ জার্নাল লাইফ সায়েন্সের প্রতিবেদনে এবার এমনটাই আশার বাণী শোনাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরের দেহে একটি পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগের ফলে তার দেহে বার্ধক্যের জন্য দায়ী কোষগুলোকে নির্মূল করা গেছে।

বয়সজনিত রোগের বিপরীতেও টিকা কাজ করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গবেষণা মানুষের জন্য একই রকম টিকা প্রয়োগের পথে একটি পদক্ষেপ।

মিনোসোটা ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অন দ্য বায়োলজি অফ এজিংয়ের বায়োক্যামেস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজির অধ্যাপক পল রবিন্স বলেন, ‘আমরা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি তা আমাদের কার্যাবলীকে প্রমাণ করতে যথেষ্ট। তিনি আশাবাদী যে, একই পদ্ধতি মানুষের ওপরও কাজ করবে।’

এই টিকার প্রয়োগ মানুষের জন্য নিরাপদ হবে কি না-এটি এখনও বড় প্রশ্ন হয়ে রয়েছে এই গবেষকের কাছেই। তিনি বলেন, ‘এর জন্য বিজ্ঞানীদের অন্যান্য প্রাণীর ওপরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে, যাতে মানুষের ওপর নিরাপদে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা যায়।’

মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বার্ধক্যের প্রধান কারণ সেনসেন্ট কোষ। এই কোষগুলোই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধ হয়ে যায়। তাদের কোষ বিভাজিত হওয়াও বন্ধ করে দেয়। অথচ এসব সেনসেন্ট কোষের মৃত্যু হয় না। ফলে দেখা যায়, এ ধরনের কোষ দেহে জমতেই থাকে। এক সময় এসব কোষের বিরুদ্ধে মানুষের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন মানুষের বার্ধক্যে পতিত হয় এবং বার্ধক্যজনিত রোগগুলো দেখা দেয়।

তবে এই ধরনের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করার মতো ওষুধ রয়েছে, যা সেনসেন্ট কোষগুলোকে অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে। কয়েকজন ব্যক্তির ওপর ইতিমধ্যে ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।

টিকার সুবিধা হলো একজন মানুষকে তা প্রয়োগের মাধ্যমে তার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রশিক্ষিত করা যায়, যাতে সেনসেন্ট কোষ পাওয়া মাত্রই ধ্বংস করা সম্ভব হয়। কিন্তু ওষুধের ক্ষেত্রে সেনসেন্ট কোষ অপসারণের জন্য প্রতিনিয়ত সেবন করতে হয়।

তবে এ ধরনের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করার কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশের সেনসেন্ট কোষ বিভিন্ন রকম। তাদের বৈশিষ্ট্যগুলোও একেবারে আলাদা।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এজিং (এনআইএ)-এর তথ্যানুসারে, নতুন এই টিকাটি প্রাণীদের এসব সেনসেন্ট কোষগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে। মধ্যবয়স্ক ইঁদুরের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তার বার্ধক্যজনিত সমস্যার ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছে নতুন টিকা। মানবকোষেও এই পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর