বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিবাসীদের নিরাপত্তা দাবিতে মানববন্ধন

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:০৮

বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ‘যার শ্রমিক লাগবে তিনি নিজে যদি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করেন, তাহলে দালালের দৌরাত্ম্য কমে আসবে। ইউরোপের কথা বলে তাদের সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে, গৃহকর্মীর কথা বলে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে।’

অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে পাঁচটি সংগঠন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সংগঠনের অর্ধশত নেতা-কর্মী তাদের দাবি জানান।

১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস সামনে রেখে আয়োজক সংগঠনগুলো আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন অনুযায়ী অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবি জানায়।সৌদি আরব থেকে ফিরে আর যেতে না পারা খুশফিয়া বেগম মানববন্ধনে বলেন, তিনি সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। করোনার সময় দেশে ফিরেছেন। করোনা রিপোর্টে ভুলের কারণে তিনি আর যেতে পারেননি।তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। সব হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব। একই অবস্থায় দেশের বেশির ভাগ প্রবাসীকর্মী।

লেবানন ফেরত এক নারী বলেন, তিনি দালালের মাধ্যমে লেবানন গিয়েছিলেন। যে কাজের কথা বলে তাকে নেয়া হয়েছিল, তা দেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন নানা অত্যাচার-নির্যাতন ভোগ করে তিনি দেশে ফিরেছেন।দেশে থেকে যারাই বিদেশে যাবে, তাদের জন্য সরকারের বিশেষ তদারকির দাবি জানান তিনি।বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, যার শ্রমিক লাগবে তিনি নিজে যদি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করেন, তাহলে দালালের দৌরাত্ম্য কমে আসবে। আর অভিবাসীদের যত অভিযোগ তা মূলত দালালদের কারণে সৃষ্টি হয়।তিনি বলেন, ‘ইউরোপের কথা বলে তাদের সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে, গৃহকর্মীর কথা বলে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। আমাদের কাছে যখন এ ধরনের অভিযোগ আসে, তখন আমরা তা সংশ্লিষ্ট সরকারের সংস্থা ও দূতাবাসের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি।’ মানববন্ধনে বিএনএসকেসহ অভিবাসীকর্মী উন্নয়ন প্রোগাম (ওকাপ), অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অফ বাংলাদেশ (এএসডিবি), বাংলাদেশ অভিবাসী শ্রমিক ফোরাম ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফন্টের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দাবি:দেশ-বিদেশে নারী-পুরুষ অভিবাসী শ্রমিকের মর্যাদা মানুষ ও শ্রমিক হিসেবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অভিবাসী অধিকার মানবাধিকার।অভিবাসী গৃহশ্রমিক কাজকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন ১৮৯ অনুসারে কর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। নারী গৃহশ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করতে হবে। নারী গৃহশ্রমিকের অধিকার মানবাধিকার।নারী অভিবাসী শ্রমিকের কর্মঘণ্টা প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা এবং দৈনিক নির্ধারিত কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময়ের কাজে মজুরি দ্বিগুণ হতে হবে।

বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর অন্য সব দেশের অভিবাসন ব্যয়ের চেয়ে বেশি। অবিলম্বে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা ও দরকষাকষির মাধ্যমে শূন্য অভিবাসন ব্যয় করতে হবে। অভিবাসন ব্যয় মালিককে বহন করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর