বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ঘৃণা জন্মাতে স্বাধীনতাবিরোধীদের কথাও পাঠ্যবইয়ে রাখুন’

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৩২

‘যেসব তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তানের সমর্থন করেছেন, তাদের কাছে নিশ্চয় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য যথাযথভাবে পৌঁছেনি। আমাদের পছন্দ থাকতেই পারে। কিন্তু যখন বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দলের খেলা হবে, সেখানে অবশ্যই বাংলাদেশের পক্ষেই সমর্থন থাকা উচিত।’

মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের কথাও পাঠ্যবইয়ে থাকা উচিত বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, ‘শুধু এক পক্ষের কথা জানিয়ে এ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ শেখানো যাবে না। তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের কথাও জানাতে হবে। তা না হলে আমাদের স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের প্রতি এই প্রজন্মের ঘৃণা জন্মাবে না।’

শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর: আমাদের যত অর্জন ও করণীয়’ বিষয়ে এক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট খেলায় এ প্রজন্মের তরুণরা পাকিস্তানের পতাকা ও পতাকা এঁকে মাঠে যাওয়ার সমালোচনা করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘যেসব তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তানের সমর্থন করেছেন, তাদের কাছে নিশ্চয় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য যথাযথভাবে পৌঁছেনি। আমাদের পছন্দ থাকতেই পারে। কিন্তু যখন বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দলের খেলা হবে, সেখানে অবশ্যই বাংলাদেশের পক্ষেই সমর্থন থাকা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘এত আয়োজন করে পাকিস্তানের পতাকা, গালে পাকিস্তানের পতাকার ছবি এঁকে সমর্থন করার মানে, আমরা এখনও তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের মর্মার্থ পৌঁছাতে পারিনি।’

খুলনার খান জাহান আলী সড়কে জামায়াত নেতা এ কে এম ইউসুফের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর শপথ।

‘৭২ সালের সংবিধানকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলে উল্লেখ করেন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘এর কোন আইনটা, আর্টিকেলের কোন ধারার চেয়ে ভালো আইন পৃথিবীর কোন দেশে আছে?’

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আলোচক ছিলেন লেখক ও ব্লগার মারুফ রসুল।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় জিয়াউর রহমান ও খোন্দতার মোশতাক আহমেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও আনেন মন্ত্রী। বলেন, এদের একজন সেক্টর কমান্ডার ও একজন মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী থাকলেও তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘তারা কী করল? বলল, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর হত্যার বিচার করা যাবে না। চোর-ডাকাতকেও তো হত্যা করলে বিচার হয়। আর জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, বলল বিচার করা যাবে না। ফলে বলাই যায়, হত্যাকারীদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা ছিল। আত্মস্বীকৃত খুনিদের তারা দেশ থেকে চলে যেতে সাহায্য করল। শুধু তা-ই না, তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে উচ্চপদে পদায়নের ব্যবস্থা করে দিল। ফলে খুনের দায় তারা এড়াতে পারে না।’

এ বিভাগের আরো খবর