বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুলের মাঠে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:১৪

প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের স্কুলে নির্বাচনি অফিস করার আগে আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। ১৫ তারিখ যখন তারা মাঠে অফিস বানানো শুরু করে, তখন আমি বাধা দিয়েছিলাম। তারা কথা শোনেনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি বিষয়টি স্কুলের সভাপতি ও সহকারী শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের মাঠে করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, তিনি বাধা দিলেও বিষয়টি ঠেকাতে পারেননি। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অনিল কুমার সেন জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

এ ঘটনা সদরের রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কুশলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট উপলক্ষে এই স্কুলের মাঠে নির্বাচনি অফিস করা হয়েছে। এভাবেই চলছে স্কুলের কার্যক্রম।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের স্কুলে নির্বাচনি অফিস করার আগে আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। ১৫ তারিখ যখন তারা মাঠে অফিস বানানো শুরু করে, তখন আমি বাধা দিয়েছিলাম। তারা কথা শোনেনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি বিষয়টি স্কুলের সভাপতি ও সহকারী শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।’

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘স্কুলের মাঠে নির্বাচনি প্রচারের জন্য অফিস নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনও যাওয়া হয়নি সেখানে। স্কুলে গিয়ে অফিসটি দেখে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রুহিয়া ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী অনিল কুমার সেন জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। স্কুলের মাঠে কোনো অফিস থাকার কথা। কে সেখানে নির্বাচনি অফিস বানিয়েছে সেটি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬-এর ৬-এর খ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী তার পক্ষে বা অন্য কোনো প্রার্থীর বিপক্ষে প্রচারণার স্থান হিসেবে সরকারি সার্কিট হাউস, ডাক বাংলো, রেস্ট হাউস, কোনো সরকারি কার্যালয় অথবা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঝে নির্বাচনি অফিস করা যাবে না। এই বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর