রাজধানীর রমনা কালীমন্দিরের সম্প্রসারিত নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
বাংলাদেশ সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার সকালে তিনি ভবনটি উদ্বোধন করেন।
কোবিন্দ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রমনা কালীমন্দিরে যান। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দ।
মন্দির প্রাঙ্গণে তাদের অভ্যর্থনা জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫ মিনিটের মতো মন্দিরে অবস্থান করেন। প্রথমে তিনি ভারত সরকারের অর্থায়নে সংস্কার হওয়া মন্দিরের অংশটি উদ্বোধন করেন। পরে সপরিবারে প্রার্থনায় অংশ নেন।
প্রার্থনা শেষে রমনা কালীমন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে রামনাথ কোবিন্দ ও তার পরিবারের সদস্যরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রমনা কালীমন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সরকার নিউজবাংলাকে জানান, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ এখানে গণহত্যা হয়েছিল। রমনা মন্দিরটি ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই অংশটি ভারত সরকারের সাত কোটি টাকা অনুদানে সংস্কার করা হয়েছে। ভক্তনিবাস ও মূল মন্দিরও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার সকালে ঢাকায় আসেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
সফরের প্রথম দিন বিকেলে সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কোবিন্দ। পরে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করে নৈশভোজে অংশ নেন।
এর আগে বিমানবন্দর থেকে নেমে আনুষ্ঠানিকতা শেষে হেলিকপ্টার করে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের রাষ্ট্রপতি। সাভার থেকে ফিরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেন কোবিন্দ। বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করে শুক্রবার দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন কোবিন্দ।