মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে জার্মানির বার্লিনে। করোনা বিধিনিষিধের কারণে ভার্চ্যুয়ালি আয়োজনে অংশ নেন জার্মানি, কসোভো ও চেক প্রজাতন্ত্রে বাস করা বাংলাদেশিরা। ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিদেশি অতিথিরাও।
স্থানীয় সময় সকালে জার্মানিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সংগীত বাজিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় দূতাবাস প্রাঙ্গণে।
এরপর দূতাবাস কর্মীদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতি সৌধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন রাষ্ট্রদূত।
পরে জুম প্ল্যাটফর্মে “Bangladesh at 50: A Story of Resilience, Innovation & Transformation” শীর্ষক আলোচনায় যোগ দেন অতিথিরা।
শুরুতে মহান বিজয় দিবস ঘিরে জাতীয় নেতাদের পাঠানো বাণী পাঠ হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার এম. মুর্শিদুল হক খান। আর প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর তানভীর কবির।
মূল আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, জাতির পিতার অবদান, সোনার বাংলা গঠনে তার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিদেশি অতিথিরা। অনলাইনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ কামনা করেন জার্মানি, কসোভো ও চেক প্রজাতন্ত্রে বাস করা বাংলাদেশিরা।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পঠিত শপথ বাক্য পাঠ করে শোনান রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন। পাশাপাশি ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতি এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন দেশকে।’
জাতির পিতা ও তার পরিবারের সব শহীদদের পাশাপশি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।