কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি এমরান হোসেন রিশাত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মুখ্য বিচারিক হাকিম ১নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক ফারহানা আক্তারের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস।
তিনি বলেন, ‘রিশাত তিন দিনের রিমান্ডে থাকার সময় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিশাতের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। রিশাত হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অস্ত্র সরবারাহের কথা স্বীকার করেছেন।’
সোমবার রাতে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় নিজ এলাকা থেকে নাজিম এবং রিশাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারবহির্ভূত এ দুই জনকে আদালতে পাঠিয়ে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে জবানবন্দি দেন অপর আসামি নাজিম।
২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জোড়া খুনের ঘটনায় ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারে থাকা সাতজন ও সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারে থাকা তিন আসামি মারা যান। পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।