পোশাক কারখানায় চাকরি সূত্রে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বয়সে ১৩ বছরের বড় এক নারীকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর নিয়ে এসে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার কনফারেন্স রুমে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।
অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী রিপন মল্লিককে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার শিবরামপুর ছোট বটতলা এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। নিহত ৩৩ বছর বয়সী সুফিয়া বেগমের বাড়ি ময়মনসিংহে।
কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, ‘গত ১২ ডিসেম্বর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্রাইমসিন সংরক্ষণ করেন। পরে পিবিআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে ওই নারীর পরিচয় শনাক্তে অনুসন্ধান শুরু করা হয় এবং ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু হয়।’
তিনি আরও জানান, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়। এরপর সুফিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরদিন তার ভাই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার সহযোগিতায় বুধবার রাতে রিপন মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানান, সুফিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি সূত্রে তাদের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুফিয়া বিয়ের জন্য চাপ দেন রিপনকে, কিন্তু বিয়েতে রাজি হননি রিপন। পরিকল্পনা করে সুফিয়াকে ফরিদপুরে নিয়ে আসেন। এরপর ১১ ডিসেম্বর রাতে মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামে ওড়না পেঁচিয়ে সুফিয়াকে হত্যা করে মরদেহ পাশের নালায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
তিনি জানান, রিপনের দেয়া তথ্যানুসারে সুফিয়ার হ্যান্ডব্যাগ তার দেখানো স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলার মাত্র তিন দিনের মধ্যে হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে।