বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর হাত থেকে ফুল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৬

উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগম এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ওই নারীকে ফুলটি দেয়ার পর ইউএনও সাহেব তা ফেরত নেয়ার জন্য বারবার বলায় আমি ফুল ফেরত নিয়েছি।’

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়ার সময় এক শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর হাত থেকে ফুল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে থানাহাট এইউ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী অপমানিত বোধ করে তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এমন কাণ্ডে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে মাঠ প্যারেড শেষে উপজেলার সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে জীবিত ১৯৫ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ফুলেল শুভেচ্ছা পর্বে বজরা তবকপুর ফৈলামারী এলাকার রহমত আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেওয়ার হাতেও ফুল দেয়া হয়।

ফুল দেয়ার কিছুক্ষণ পরই ইউএনও মাহবুবুর রহমান উপস্থিত উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগমকে সেই ফুলটি ফেরত নিতে বলেন। এ সময় বাধ্য হয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার হাত থেকে ফুলটি নিয়ে নেন। জনসমক্ষে ফুল ফেরত নেয়ার ঘটনায় রেজিয়া বেওয়া অপমানিত বোধ করে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

রেজিয়া বেওয়া বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়ে অনুষ্ঠানে যাই। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফুলেল শুভেচ্ছা পর্বে আমাকে ফুল দিয়ে ফুলটি কেড়ে নেয়া হয়। সে সময় অপমানিত বোধ করায় সেখান থেকে চলে আসি।’

রেজিয়া বেওয়ার ছেলে এরশাদুল আলম বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমার মাকে অপমানিত করা মানে সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকেই অপমানিত করা। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগম এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ওই নারীকে ফুলটি দেয়ার পর ইউএনও সাহেব তা ফেরত নেয়ার জন্য বারবার বলায় আমি ফুল ফেরত নিয়েছি।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরবিক্রম শওকত আলী বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। তবে আমার চোখের সামনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফুল ও কম্বল দেয়া হয়েছে। যারা আসেনি তাদের পৌঁছে দেয়া হবে।’

উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের কিসামত বানু এলাকার রহমত আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হন। দেশ স্বাধীনের পর একমাত্র সন্তান এরশাদুল আলমকে নিয়ে রেজিয়া বেওয়া একই ইউনিয়নের বজরা তবকপুর ফৈলামারী গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান।

পরে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুমোদিত বিভিন্ন তালিকায় রহমত আলীর নাম শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শহীদ পরিবারটি নিয়মিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর