বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলমাকান্দায় আ.লীগ-বিএনপির হামলায় আহত ১০  

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৪৩

সিধলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, ‘বিজয় দিবসের র‍্যালি করে চলে যাওয়ার সময় প্রথমে বিএনপির লোকেরা আওয়ামী লীগের লোকদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়েছে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আর এর পর পরই বিচ্ছিন্ন কিছু হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলা নেয়া হবে।’

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ উভয় দলের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজারে বৃহস্পতিবার সকাল এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কৈলাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সিধলী বাজারের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান। পরে বিজয় র‌্যালি করে চলে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।

এর কিছুক্ষণ পর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও কৈলাটি ইউনিয়নের বিদায়ী চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তার ৫০-৬০ জন সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় তারা ওই এলাকার ‘আবু তাহের কলেজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানেও হামলা এবং ভাঙচুর করে।

কৈলাটি ইউনিয়নের সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, রুবেল ভূঁইয়ার লোকজনের হামলায় আজকের পত্রিকার কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি রানা আকন্দ, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু মিয়া, সাইফুল ইসলাম শেকুল, বাহার মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শিহাব উদ্দিনসহ সাত-আটজন আহত হয়েছেন। তারা হাফেজ সিদ্দিকুর রহমানের দাড়ি পর্যন্ত টেনে ছিঁড়েছেন।

তবে বিদায়ী চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় আমি ও আমার দলের কর্মী আরিফসহ কয়েকজন আহত হয়েছি।’

আহত সাংবাদিক রানা আকন্দকে গুরুতর অবস্থায় নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ইসরাত জাহান জানান, তার মাথায় ১০-১২টি সেলাই লেগেছে। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত রানা আকন্দ বলেন, ‘আমি বিজয় দিবস উদযাপনের খবর সংগ্রহ করতে মোটরসাইকেলে সিধলী বাজারে যাচ্ছিলাম। সিধলী ব্রিজের উত্তর পাশে যেতেই আগে থেকে ওতপেতে থাকা রুবেল ভূঁইয়ার ভাই শাকিল ভূঁইয়া, সোহেল ভূঁইয়া, ভাতিজা জুয়েল আকন্দ, কামরুল ভূইয়াসহ কয়েকজন আমার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা আমাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

আওয়ামী লীগ নেতা ও সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজয়ের জেরেই রুবেল ভূঁইয়া ও তার লোকেরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ তবে বিদায়ী চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই প্রথমে আমাদের ওপর হামলা করেছে।’

সিধলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, ‘বিজয় দিবসের র‌্যালি করে চলে যাওয়ার সময় প্রথমে বিএনপির লোকেরা আওয়ামী লীগের লোকদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়েছে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আর এর পর পরই বিচ্ছিন্ন কিছু হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলা নেয়া হবে। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর