বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্মৃতিসৌধে হট্টগোলে ফোন খুইয়েছেন অন্তত ২০ জন

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:১৪

গণপূর্ত বিভাগের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিজয় দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে গত দুদিন ধরে আমরা রাত-দিন জেগে কাজ করছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সৌধ এলাকায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। এর মাঝে অপরাধী কারা তা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তবে যদি স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) অভিযোগ পাই তাহলে সিসিটিভি দেখে আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।’

মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে মোবাইল ফোন হারিয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাও আছেন।

মূলত বিএনপির নেতা-কর্মীদের আগমন ঘিরে হট্টগোলের সময় ফোন চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিজয় দিবসে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হওয়ায় এ ধরনের অপরাধীদের তাৎক্ষণিক শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে অপরাধীদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বুধবার ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সৌধ এলাকা। এরপরই রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে সৌধ প্রাঙ্গণে।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের আগমনের সময় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। হট্টগোল ও মারামারির ঘটনাও ঘটে ওই সময়ে। এক ব্যক্তিকে মোবাইল চুরির অভিযোগে কয়েকজনকে মারধর করতে দেখা যায়।

এ সময় ভিড়ের মধ্যে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোজাফফর হোসাইন জয় ও রাশেদ বাপ্পীর মোবাইলফোন পকেট থেকে চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরপরই ঢাকা পোস্টের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আলকামা আজাদের ফোন চুরি যাওয়ার খবর মেলে।

কিছুক্ষণ পর গণপূর্ত বিভাগ মিরপুর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম ফোন চুরি যাওয়ার কথা জানান সংবাদকর্মীদের। সাধারণ মানুষদের অনেকেই তাদের মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানান।

সাংবাদিক মোজাফফর হোসাইন জয় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠান কাভারেজ করতে গিয়েছিলাম। এ সময় হঠাৎ হট্টগোলের মাঝে পড়ে যাই আমরা। পরে পকেট থেকে আমার ফোন ও তিন হাজার টাকা কে বা কারা বের করে নেয়।

‘একই সময় আমার সহকর্মী রাশেদেরও মোবাইলটি তার পকেট থেকে চুরি হয়ে যায়। স্মৃতিসৌধের মতো স্থানে মোবাইল ও মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা সত্যি দুঃখজনক। স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও সৌধ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেনি।’

নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক নাজমুল হুদা বলেন, ‘আজ মোবাইলসহ নানা মূল্যবান জিনিসপত্র হারানোর অন্তত ২০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্মৃতিসৌধে হকার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা মানা হয়নি। যারা স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে আছেন, তাদের এ বিষয়ে আরও সজাগ হওয়া প্রযোজন।’

গণপূর্ত বিভাগের মিরপুর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিজয় দিবসে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছিলাম।

‘এ সময় অনেক ভিড় ছিল। হঠাৎ পকেটে হাত দিয়ে দেখি আমার ফোন নেই। স্মৃতিসৌধ এলাকায় এমন ঘটনা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কিছু পুলিশ চোখে পড়লেও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।’

গণপূর্ত বিভাগের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিজয় দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে গত দুই দিন ধরেই আমরা রাত-দিন জেগে কাজ করছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সৌধ এলাকায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। এর মাঝে অপরাধী কারা তা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তবে যদি স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) অভিযোগ পাই তাহলে সিসিটিভি দেখে আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর