বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি একসঙ্গে পড়ে যাওয়ায় রাজধানীসহ সারা দেশের পর্যটকদের ঢল নেমেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
নাগরিক জীবন থেকে খানিকটা মুক্তি পেতে বিপুল মানুষ এক সময়ে যাওয়ায় জেলার আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে কোনো রুম খালি নেই। ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই বুক হয়ে গেছে প্রায় প্রতিটি রুম। এ অবস্থায় পর্যটকদের আগে থেকে রুম বুকিং দেয়া না থাকলে বেড়াতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের ৬৭টি হোটেল ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সব রুম অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছে। শ্রীমঙ্গলের ৫টি তারকা হোটেলসহ সাধারণ মানের হোটেলগুলোতেও কোথাও কোনো রুম খালি নেই।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থা বলছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন মন্দা ছিল পর্যটন ব্যবসায়। তবে এ বছর বিজয় দিবসে যতসংখ্যক পর্যটক এখানে বেড়াতে এসেছেন, এর আগে কখনও একসঙ্গে এত আসেনি। ফলে হোটেল-মোটেলগুলো আগে থেকেই শতভাগ বুক হয়ে গেছে।
তাই শেষ সময়ে এসে অনেকেই কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে রুম নিতে আগ্রহী হলেও তারা বিমুখ হচ্ছেন।
গ্রিনলিফ রিসোর্টের পরিচালক এস কে দাস সুমন বলেন, ‘আমার এখানে ৯০টি রুম আছে। কিন্তু ১৫ দিন আগে থেকেই সেগুলো বুকিং হয়ে গেছে।
এখন পর্যটকরা প্রতিদিনই রুমের জন্য কল দিচ্ছেন। তারা অতিরিক্ত টাকা গুনতেও রাজি কিন্তু কোনো উপায় নেই।’
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শামছুল হক জানান, ‘আমার নিজেরও একটি ইকো রিসোর্ট রয়েছে। এটিও প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই ফিলআপ হয়ে গেছে।
‘জানতে পেরেছি শ্রীমঙ্গলের কোথাও হোটেল বা রিসোর্ট খালি নেই। ১০ দিন আগেই সব পূর্ণ হয়ে গেছে। তবে পর্যটকদের একটি বড় অংশ আসেন উপস্থিত সময়ে রুম নিয়ে থাকবেন বলে। তাদের এখন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।’
এদিকে জেলায় বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে সতর্ক পুলিশ প্রশাসনও।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, এই ছুটিতে অনেক পর্যটক এসেছেন, আসছেন ও আসবেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। পর্যটকরা যেন নিরাপদে ঘুরতে পারেন সে জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে আমরা সতর্ক।’