চতুর্থ ধাপে আসন্ন ২৬ তারিখের নির্বাচনকে ঘিরে বেশ জলঘোলা হয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলোরহাট ইউনিয়নে।
এই ইউনিয়ন থেকে প্রথমে নৌকার টিকিট পান বর্তমান চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মণ। তবে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর দুদকের করা চাল আত্মসাতের মামলার দায়ে তাকে বাদ দিয়ে স্কুলশিক্ষক অখিল চন্দ্র রায়কে নৌকার মাঝি বানায় আওয়ামী লীগ।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ঢোলোরহাট বাজারে সমর্থকদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সীমান্ত।
এ সময় তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি চাল চোর নই, আমি চাল চুরি করিনি। তবুও এই মামলার দায়ে আমাকে নৌকার প্রতীক হারাতে হলো।’
গত ৩০ নভেম্বর চাল আত্মসাতের মামলায় দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ আদালত মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় সীমান্ত কুমারকে। কিন্তু নৌকার মনোনয়ন আর ফেরত পাননি তিনি।
এ অবস্থায় সীমান্ত কুমার বর্মন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রচারও শুরু করেন।
এ দিকে, নৌকার মনোনয়ন পেলেও নির্বাচন কমিশন থেকে ঋণখেলাপীর দায়ে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় অখিল চন্দ্রের। আপিল করেও প্রার্থীতা ফিরে না পাওয়ায় পরে হাইকোর্টে রিট করেছেন তিনি। পরে আদালতের রায়ে প্রার্থীতা ফিরে পান।
একইসঙ্গে সীমান্ত কুমারকে দল থেকে চাপ দেয়া হলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
সমর্থকদের তিনি বলেন, ‘আমি একজন স্কুলশিক্ষক এবং সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও ২০১৬ সালে ভোট দিয়ে আপনারা আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। তবে ইউনিয়নের কয়েকজন চক্রান্ত করে আমাকে চাল আত্মসাতের মামলায় ফাঁসায়।
‘সেই মামলায় আমি ৪৭ দিন কারাগারে ছিলাম। পরে, উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নৌকা প্রতীকে আপনাদের ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছিলাম। আজ এ প্রতীকের বিরোধিতা করতে পারছি না। তাই দলের শৃঙ্খলা মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’