বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নৌকা জেতাতে প্রতি কেন্দ্রে ২০০ বৈঠা’

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:১১

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, উঠান বৈঠক কিংবা গণসংযোগে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। ভোটের সময়ে কোনো প্রার্থী এ রকম বক্তব্য দিতে পারেন না।

ভোলা সদর উপজেলার ১১ নম্বর ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন তিনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাতে এক বাড়িতে ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক করেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই। ওই বৈঠকের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরই প্রার্থীর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

উঠান বৈঠকে আব্দুল হাইকে বলতে শোনা যায়, ‘বৈডাই (বৈঠা) যদি লই তোগোরে আর খোঁজ কইরা পাইয়া (পাওয়া) যাইব না। এখন থেকে নৌকারে জিতানোর লইগা প্রতি কেন্দ্রে ২০০ কইরা বৈডা পাঠানো হবে। সবাই ৫ তারিখ নৌকায় ভোট দেবেন। কোনো ঝামেলা হলে কেন্দ্রের বাইরে নৌকার বৈঠা হাতে আমার কর্মীরা থাকব। তাগোরে (তাদের) কইবেন, কাউরে ছাড় দেওয়া হইব না।’

ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনির মাস্টার, মোশাররফ মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক চুন্নু ডাক্তার, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুলসহ আরও অনেকে।

আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের বলে বেড়াচ্ছেন ভোলার অভিভাবক তোফায়েল আহমেদ আমাকে দল থেকে নৌকা দিয়েছেন, কিন্তু বিজয়ের জন্য বৈঠা দেননি। তাই তাদের উদ্দেশে ওই দিন মুখ ফসকে কথাগুলো বেরিয়ে গেছে। এখানে ভোটারদের উদ্দেশে আমি কিছু বলিনি।’

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, উঠান বৈঠক কিংবা গণসংযোগে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। ভোটের সময়ে কোনো প্রার্থী এ রকম বক্তব্য দিতে পারেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ১১ নম্বর ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর