বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে বিস্তৃত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিজয় দিবসের নিরাপত্তার ছক সাজানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে র্যাবও বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
বুধবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় প্যারেড স্কয়ার, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে।
মহান বিজয় দিবস ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জল, স্থল ও আকাশ পথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সারা দেশে র্যাবের গোয়েন্দা ও অভিযান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানের আশপাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
র্যাবের টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র্যাব বোম্ব স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সারাদেশে ভিভিআইপি/ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেখানে জনসমাগম বেশি হয় সেসব এলাকায় যাতে কোন ধরণনর অনাকাঙিক্ষত ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড টিম ও ক্রাইম সিন ভ্যানকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।
যেকোনো অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
যেকোন ধরনের নাশকতামূলক ও সহিংস ঘটনা রোধে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কুচক্রী মহলের গুজব, অপপ্রচার ও অপতৎপরতা রোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের সাইবার নজরদারি ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।