রাজধানী থেকে ‘অপহরণের শিকার’ শেরপুর সার্কিট হাউসের এক কর্মচারীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় একটি খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকিসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার আব্দুল খালেকের মামলায় বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে মাগুরা থেকে খালেককে উদ্ধার ও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের ইয়াসিন আলী ও একই এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন।
পুলিশ জানায়, রোববার শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া এলাকার বাড়ি থেকে ভোরে ঢাকায় যান খালেক। মগবাজার পৌঁছনোর পর আসামি ইয়াসিন তাকে ফোন করে দেখা করেন। সেখান থেকে ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন খালেককে র্যাবের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়িতে জোর করে উঠিয়ে নেন।
পুলিশ আরও জানায়, ঢাকা থেকে খালেককে মাগুরা নিয়ে গিয়ে শহরের একটি ভবনের দোতলায় আটকে রাখা হয়। ওই সময় নির্যাতন চালিয়ে তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। খালেকের পরিবার প্রথমে ৫০ হাজার ও পরে আরও ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের কাছে পাঠায়।
এদিকে ওই ঘটনায় খালেকের পরিবার থানায় একটি জিডি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শেরপুর সদর থানা পুলিশ খালেকের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে র্যাবের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে খালেককে উদ্ধার এবং একই ভবন থেকে ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধারের পর খালেক ইয়াসিন, জাহাঙ্গীরসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন একই জেলার শিপন ও সোহেল।
খালেক বলেন, ‘আমাকে ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমাকে অনেক মারপিট করে ও ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে বিকাশে ৬০ হাজার টাকা পাঠায়। এর পরও আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে।
শেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানার পর পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিই। পরে র্যাবের সাহায্যে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছি।
গ্রেপ্তারের সময় আসামিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা চালায় বলেও জানান তিনি।