বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেটে কাঁচি রেখে সেলাই, ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:১২

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণীর অস্ত্রোপচারের পর পেটের মধ্যেই কাঁচি রেখে সেলাই করে দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ৩ মার্চ। ওই ঘটনার ৬৪৩ দিন পর ওই হাসপাতালেই আবার অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে আনুমানিক ছয় ইঞ্চি লম্বা আকৃতির কাঁচিটি বের করা হয়।

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণীর পেটের কাঁচি রেখে সেলাই করার ঘটনায় ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এই ঘটনার ৬৪৩ দিন পর সেই কাঁচি অপসারণের পর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান ও সৈয়দা নাসরিন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বুধবার নোটিশটি পাঠান।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন, ফরিদুপরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ হাসপাটালের পরিচালক, সার্জারি ইউনিটের অধ্যাপক রতন কুমার সাহা, রেজিস্ট্রার সালেহ মো.সৌরভ এবং সার্জারি বিভাগ ইউনিট ২–এর চিকিৎসক সরফউদ্দিন বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশকারি আইনজীবী শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এবং তাদের অবহেলার কারণে ভিকটিমকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এ নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির পর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রিট করা হবে।’

সম্প্রতি ‘পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই, ৬৪৩ দিন পর অপসারণ’ শীরোনামে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণীর অস্ত্রোপচারের পর পেটের মধ্যেই কাঁচি রেখে সেলাই করে দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ৩ মার্চ।

ওই ঘটনার ৬৪৩ দিন পর ওই হাসপাতালেই আবার অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে আনুমানিক ছয় ইঞ্চি লম্বা আকৃতির ওই কাঁচি বের করা হয়।

ওই তরুণীর নাম মনিরা খাতুন। তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝুটিগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিয়ার মেয়ে। দুই ভাই ও দুই বোনের মনে মনিরা তৃতীয়।

ওই হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি করা হবে। কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মনিরার ভাই মো. কাইয়ুম জানান, অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন পরই মনিরাকে ফরিদুপরের নগরকান্দা উপজেলার পৈলানপট্টি গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তিনি পেটের ব্যথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেলে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী। এরপর বিভিন্ন পল্লিচিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু পেটের ব্যথা কমেনি। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে প্রায় দুই বছর চেপে রাখেন পেটব্যথা।

সম্প্রতি পেটে অসহনীয় ব্যথা উঠলে মুকসুদপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। ওই ক্লিনিকে এক্সরের মাধ্যমে চিকিৎসক দেখতে পান, পেটে একটি কাঁচি রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর