বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলালের নামে এবার যশোরে সমন

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩১

জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নামে মানহানির মামলা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন। সেই মামলায় আলালকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম।

ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নামে শরীয়তপুরের পর এবার যশোরের আদালতে সমন জারি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মানহানির মামলায় জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মঞ্জুরুল ইসলাম বুধবার দুপুরে এই সমন জারি করেন। তবে এরইমধ্যে কটূক্তির জন্য ক্ষমা চেয়ে তা প্রত্যাহার করেছেন এই বিএনপি নেতা।

মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন দুপুর সাড়ে ১২টায় মামলার আবেদনটি করেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সুব্রত ব্যানার্জি এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে যে আলাল সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের সুনাম ও সম্মানহানি হয়েছে।

এ কারণে বাদী মানহানির মামলাটি করেছেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১৮ জানুয়ারি আসামিকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে বুধবার মামলার আবেদন করা হয়েছে বরিশাল ও মাদারীপুরে।

বরিশালে সাইবার ট্রাইব‌্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আবেদন করেন সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা।

আদালত আদেশের জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শেখ আ. কাদের। তিনি জানান, আবেদনে আলাল ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন মোছাদ্দের আলী জায়গীরদারকে। তার পেজ থেকে আলালের বক্তব্য ভাইরাল হয়।

মাদারীপুরে বুধবার দুপুরে মানহানির মামলার আবেদন করেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর ইমাম সুজন। সেটিও শুনানির অপেক্ষায় আছে।

জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এই আবেদন করা হয়। বিচারক ফয়সাল আল মামুন তা অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদী জাফর বলেন, ‘অ‌ভিযোগ‌টি দায়ের করা হয়েছে। আশা রা‌খি ম্যা‌জিট্রেট তা আমলে নিয়ে অ‌ভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন।’

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর আলালের নামে সমন জারি করে শরীয়তপুরের আদালত।

শরীয়তপুর সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের করা মানহানির মামলার আবেদন আমলে নিয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিম শামসুল আলম আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে আলালের বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।

এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতে গিয়ে আলাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে অশালীন আক্রমণ করেন। পাশাপাশি ধর্মীয় রীতির প্রতি ইঙ্গিত করেও আপত্তিকর বক্তব্য রাখেন।

এ বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। অথচ তার এই বক্তব্যকে ন্যায়সংগত সমালোচনা বলে উল্লেখ করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আলালের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলাল বলেন, ‘আমি প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন আছি। আমার শরীরে একটি গুরুতর সার্জারি হয়েছে। সংগত কারণেই সব দুঃসংবাদ থেকে পরিবার আমাকে দূরে রেখেছে। তার পরও বিলম্বে আমি জেনেছি অতীতে আমার একটি বক্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।’

আলাল আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারও সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে আমি তো ভুলের ঊর্ধ্বে নই।

‘তাই বলছি, কোনো অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভূতিতে, তাদের সবার নিকট আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সেই সঙ্গে উক্ত বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। ভালো থাকুক আমার প্রিয় স্বদেশ, শান্তিপূর্ণ থাকুক বাংলাদেশ।’

এ বিভাগের আরো খবর