আগামী বছরের জন্য সরকারি স্কুলগুলোয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৭৫ হাজার ৯৬৯ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি স্কুলগুলোয় ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন ও ফল প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে তিনি বোতাম চেপে লটারির কার্যক্রম শুরু ও ফল প্রকাশ করেন।
অনলাইনে স্কুলে ভর্তির এই লটারি হচ্ছে টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে।
সারা দেশে ৪০৫টি সরকারি স্কুলের ৮০ হাজার ৯১টি শূন্য আসনের বিপরীতে মোট ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬ জন শিক্ষার্থীর আবেদন লটারিতে জমা পড়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
লটারির জন্য ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ফিডার শাখাসহ তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুলের নাম দিতে পেরেছে।
সারা দেশে মোট ৪০৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ৮০ হাজার ৯১টি। এর মধ্যে অনেকেই একাধিক স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। সেই হিসাবে পছন্দক্রম আবেদন জমা পড়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৬টি। আসনসংখ্যার হিসাবে প্রতি আসনে ভর্তির জন্য প্রায় ১৩ জন আবেদন করেছে।
২০২২ সালের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য গত ২৫ নভেম্বর থেকে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার রাত ১২টার আগে অনলাইন আবেদন শেষ হয়।
এর আগে মাউশি এক অফিস আদেশে জানায়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ভর্তি পরিচালনা কমিটি, ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়।