বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে কিছু জানি না: ফখরুল

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৪৪

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির এই আলোচনায় বিএনপি যাবে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জানি না।’ বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নেও আসে সেই একই জবাব, ‘আমরা কিছু জানি না।’

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নিয়ে কিছু জানা নেই বিএনপির। সংলাপে ডাকা হলে বিএনপি তাতে অংশ নেবে কি না, তাও জানা নেই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

আগামী রোববার থেকে এই সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। প্রথম দিন ডাকা হয়েছে জাতীয় পার্টিকে।

এ বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে মঙ্গলবার। আর বুধবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন রাখেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

রাষ্ট্রপতির এই আলোচনায় বিএনপি যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জানি না।’

রাষ্ট্রপতির এই আলোচনায় আমন্ত্রণ পেলে কী অবস্থান হবে- জানতে চাইলে তিনি আবার বলেন, ‘জানি না।’

রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নেও আসে সেই একই জবাব, ‘আমরা কিছু জানি না।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো আইন না থাকলেও গত দুটি কমিশন গঠন হয়েছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের পর। কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ও কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন দুটি কমিশন গঠনের আগে বিএনপি সংলাপে অংশ নিলেও দুটি কমিশন নিয়েই তাদের প্রবল আপত্তি আছে।

২০১৪ সালে বিএনপি ও তার জোটের বর্জনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হয় রবিক কমিশনের অধীনে। আর একাদশ সংসদ নির্বাচন করে নূরুল হুদার কমিশন।

বিএনপির অভিযোগ এই দুটি নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে আর নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে জেতাতে কাজ করেছে।

নূরুল হুদার কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর যে কমিশন দায়িত্ব নেবে, তারাই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি তোলা হয়েছে। আর সেই সরকার গঠন হলে তারপর ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। তবে সেই ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশনের কোনো রূপরেখা দেয়া হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর