দেশের সব রোগের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও অনেকে শখ করে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নন-রেসিডেন্সি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই শখ করে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। দেশে সব রোগের সুচিকিৎসা বা সুব্যবস্থা রয়েছে। তাই বিদেশ না গিয়ে দেশে চিকিৎসা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘করোনার মধ্যে চিকিৎসা নেয়ার জন্য কেউ বিদেশ যেতে পারেননি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনাসহ সব চিকিৎসার সুব্যবস্থা করেছে। দেশে যথেষ্ট ভালো হাসপাতাল রয়েছে, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। উন্নত যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে আমাদের আস্থার অভাব আছে। আমরা এখনও পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছি না।’
জাহিদ মালেক জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল হচ্ছে। এটা হয়ে গেলে আরও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
এ সময় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করা এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২০০ ডলার। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ ডিজিটালাইজ হয়েছে। তবে ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয়নি। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না হয়।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব এম এ আজিজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব এহতেশামুল চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আগামীতে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে শারফুদ্দিন বলেন, ‘যারা এখনও টিকা নেননি তাদের সবাইকে টিকা নিতে হবে এবং ৬০ বছরের বেশি জনগোষ্ঠীকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনতে হবে।’
এখন চিকিৎসা নেয়ার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই জানিয়ে অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।’
যারা চিকিৎসা নেয়ার জন্য বিদেশে যেতে চান, তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চলে আসেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসার সুব্যবস্থা রয়েছে।’