সমুদ্র তলদেশের বিস্তীর্ণ এবং অনাবিষ্কৃত সম্পদের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকায় রূপান্তরধর্মী পরিবর্তন আনতে চায় সরকার।
এ জন্য গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (ইন্টারন্যাশনাল সি-বেড অথরিটি-আইএসএ) কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
ক্যারিবিয়ান দেশ জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত আইএসএ-এর ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের দাবি তুলে ধরেন আইএসএ এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
এ সময় বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত রূপকল্প-২০৪১-এর কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
রূপকল্প-২০৪১-এর অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে সমুদ্র তলদেশের সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধার ন্যায়সংগত অংশীদারি নিশ্চিত করা এবং সমুদ্র তলদেশে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে সহজতর করার ওপর জোর দেন তিনি।
সমুদ্র তলদেশ থেকে খনিজ অন্বেষণ করার সময় সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষার ওপরও জোর দেন স্থায়ী প্রতিনিধি। এ ক্ষেত্রে তিনি সামুদ্রিক পরিবেশ এবং এর সম্পদের কার্যকর ব্যবহার, সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য সম্প্রতি প্রণীত ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম জোনস্ আইন’ এর বিষয়টি অধিবেশনে তুলে ধরেন।
বার্ষিক এই অধিবেশন আইএসএ-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অঙ্গ। কিংস্টনে ১৩ ডিসেম্বর আইএসএ-এর ২৬তম বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়েছে, যা বুধবার শেষ হবে।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা আইএসএ-এর মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজের আমন্ত্রণে এ অধিবেশনে যোগ দেন।
তিন দিনব্যাপী এই অধিবেশনে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্থায়ী প্রতিনিধি ও অন্যান্য প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বর্তমানে আইএসএ কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।