বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা মঙ্গলবারের চেয়ে একটু খারাপ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেট কমে গেছে, তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে। তবে রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ২২ ডিসেম্বর থেকে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগার থেকে বের করে বাসায় থাকার সুযোগ দেন তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে। ২০২০ সালের মার্চে এই উদ্যোগের শর্ত ছিল, দেশের বাইরে যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া।
তবে গত এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এক দফা এবং সম্প্রতি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার দাবি করছে বিএনপি।
১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়।
খালেদার অবস্থা ভালো নয় বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে। মানবিক স্বার্থে হলেও দলীয় প্রধানকে বিদেশ নিয়ে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়েছেন তারা। বিদেশ পাঠিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।