উন্নততর বিশ্ব গঠনে বর্তমান বৈশ্বিক সমন্বিত প্রচেষ্টার মধ্যেও শান্তি, ন্যায়বিচার, উন্নয়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের মিল খুঁজে পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরের মহাপরিচালক তাতিয়ানা ভালোভায়া।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
জেনেভায় জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে বুধবার সকালে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জেনেভায় বহুপক্ষীয় কূটনীতির শতবর্ষ উপলক্ষে বুধবার সকালে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তাতিয়ানা ভালোভায়া ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ ও সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নততর ভবিষ্যৎ গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক।
শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’কে অনুপ্রেরণীয় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বইটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, অঙ্গীকার ও অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও দেখানো পথ অনুসরণ করেই বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে চলছে।
মোস্তাফিজুর আরও বলেন, জাতিরাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার বিকাশের একটি প্রতিচ্ছবি হলো তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি।
অনুষ্ঠানে জেনেভায় নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ইন্দ্র মনি পান্ডে ও ঢাকা থেকে পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্যের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ নিয়ে কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত পান্ডে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুকরণীয় জীবন, বিশেষ করে তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ থেকে সবার জন্য অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে।
কাজী সাজ্জাদ জহির বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তা, সাহস ও আপসহীন ব্যক্তিত্বের একটি চিত্র এই গ্রন্থটিতে পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠান শেষে জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরের পাঠাগারে সংরক্ষণের জন্য জাতিসংঘের ছয়টি ভাষায় অনূদিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের অনুলিপি দেয়া হয়।
এ ছাড়াও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরের মহাপরিচালক তাতিয়ানা ভালোভায়ার কাছে একটি ভাস্কর্য হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে জেনেভায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।