মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের নেতৃত্বে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তার মরদেহ তোলা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে একই স্থানে ফের দাফন করা হবে।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ফারহান লাবিব বলেন, ‘মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে আবার দাফন হবে। আগের দিন সূর্যের আলোর না থাকায় মরদেহ তোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার।
শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলী বলেন, ‘ছেলে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের ফাঁসি চাই।’
৩০ নভেম্বর দুপুরে কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে তাকে একইস্থানে পুনরায় দাফন করা হবে।এই মৃত্যু নিয়ে পরে নানা প্রশ্ন ওঠে। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মরদেহ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান।
চিঠিতে বলা হয়, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তার মরদেহ তোলা হয়েছে।