ভোলার মেঘনায় যুবলীগ নেতা টিটু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই দুজনের নাম শাহীন রাঢ়ী ও নীরব রাঢ়ী। তাদের বাড়ি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে।
এ পর্যন্ত মামলার মোট পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মঙ্গলবার রাতে ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোলা জেলা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে ১৩ ডিসেম্বর বেলা ২টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বংশাল থানার বাবুবাজার ব্রিজের নিচে কাঁচাবাজার এলাকা থেকে শাহীন ও নীরবকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা হত্যায় সরাসরি অংশ নেন। ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে হত্যার দিন বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই করে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার অপরাধী এবং হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি। বিভিন্ন থানায় শাহীনের বিরুদ্ধে ১০টি এবং নীরবের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে।
এর আগে ৫ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা হত্যার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন ওরফে চকেট জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালত তাকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। এ ছাড়া
এজাহারভুক্ত আসামি আবুল বাশার এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি জসিমউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়ন থেকে খেয়া ট্রলারে ভোলা সদরে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম টিটু।
এ ঘটনায় টিটুর ভাই হানিফ ভুট্টো বাদী হয়ে সদর থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।