বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি শিক্ষার্থী ‘হত্যা’, স্বামী আটক

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:১২

ইলমা নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী। তার স্বামী, কানাডাপ্রবাসী ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাবির এ ছাত্রী সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর কানাডাপ্রবাসী ব্যবসায়ী স্বামী শাওন ইফতেখার আবেদীনকে আটক করেছে পুলিশ।

ওই ছাত্রীর নাম ইলমা চৌধুরী মেঘলা। তিনি নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী।

ইলমা সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধামরাই পৌর এলাকায়।

ছাত্রীর মরদেহ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। রাত ১টা পর্যন্ত মরদেহ সেখানে রাখা ছিল।

মরদেহ মর্গে নেয়ার সময় ইলমার সহপাঠীরা সঙ্গে ছিলেন। রাত ১টা পর্যন্ত তার পরিবারের কোনো সদস্যকে মর্গে দেখা যায়নি।

কী বলছেন সহপাঠী-স্বজন

ইলমার সহপাঠী নুসরাত জাহান তিথি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ক্লাসে অনিয়মিত হয়ে পড়ে ইলমা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নজরদারি চালাত বলে মনে হয়েছে। কয়েক দিন আগে তার স্বামী কানাডা থেকে ফেরার পরই এই ঘটনা ঘটল।’

আরেক সহপাঠী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘মেঘলার বিয়ে হয়েছে ছয় মাস আগে। কী করে কী হয়েছে জানি না। ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে ওর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি।’

সহপাঠী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর সে শুধু পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসত। সে সময় তার শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে একজন লোক সঙ্গে থাকত। ইলমার হাজব্যান্ড ভিডিও কলে এসব দেখত।’

তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর ইলমা সম্পূর্ণ চেঞ্জ হয়ে যায়। বোরকা-হিজাব পরা শুরু করে। আমাদের কারও সঙ্গে কথা বলত না। নীরবে এসে নীরবেই চলে যেত। আমরা এখন বুঝতে পারছি বিয়ের পর তাকে ব্যাপক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে রাখা হতো।

‘ইলমার বাড়ি সাভারে, আর সে থাকত বনানীতে। সেখানে তার শ্বশুর-শাশুড়ি থাকত। তার স্বামী থাকত কানাডায়। সম্প্রতি দেশে আসে। তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো, কিন্তু সে মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করত।’

ইলমার বিষয়ে তার মামা ইকবাল বলেন, ‘ওর শাশুড়ির কল পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি ও মারা গেছে।’

ঢাবি শিক্ষকদের ভাষ্য

সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামিমা বানু বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন হলে ছিল না। এর বেশি কিছু জানা নেই আমার। খোঁজ নিচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ঘটনাটা আমি শুনেছি। বিভাগের চেয়ারম্যান এবং তার সহপাঠীরা এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে আছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে ঘটনার বিস্তারিত খুঁজে বের করার জন্য।’

কী বলছে পুলিশ

বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ইলমাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী ইফতেখারকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাসা বনানীতে।

‘মরদেহে আঘাতের বেশ কিছু চিহ্ন রয়েছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ভিকটিমের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর