অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে পারলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনের আলোকে উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন দেশ গড়তে পারলে একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, জ্ঞানভিত্তিক, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উদার ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণই ছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের লক্ষ্য। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন।
জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের সেরা সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার মূল কেন্দ্র। হানাদার ও তাদের দোসরদের অশুভ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে বলা যাবে না। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে বারবার অগণতান্ত্রিক শক্তির ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটে।
উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত যেসব কর্মপরিকল্পনা নিয়েছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এ কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরও আগেই দেশ উন্নতির শিখরে উপনীত হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া।
ঢাবি রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
সকালে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবরস্থান, জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্ৰীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।