বগুড়ার শেরপুরে পারিবারিক দ্বন্দ্বে ঘুমন্ত স্বামীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শ্বাসনালী অক্ষত থাকলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন।
উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর বিলনোথার গ্রামে সোমবার এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনায় শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঝাঁজর বিলনোথার গ্রামের তজমল হোসেনের সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় লাকী আক্তারের। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান তজমল। নিঃসন্তান এ দম্পতির কিছু টাকা সঞ্চয় ছিল। স্বামীকে না জানিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সেই টাকা অধিক সুদে ঋণ দেন স্ত্রী লাকী আক্তার।
এতে অল্প সময়ের মধ্যেই লক্ষাধিক টাকার মালিক বনে যান তিনি। বিষয়টি তজমল জানতে পেরে সুদে টাকা খাটাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রোববার রাতে একই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এই জেরে সোমবার সকালে ধারালো বটি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্বামীকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা চালান লাকী।
ওই সময় গোঙানির শব্দ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তজমলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তজমল হোসেন বলেন, ‘সংসারে আমার উপার্জিত টাকার হিসাব ও সুদে টাকা খাটাতে বন্ধ করা নিয়ে লাকীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। সামান্য বিষয় নিয়ে লাকী ঘুমের মধ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, যা কল্পনাও করতে পারছি না। তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’
লাকী অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, ঘুমন্ত স্বামীর গলায় ছুরি চালানোর মতো কিছু করেননি। ওইদিন তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ধারালো কোনো কিছু লেগে তার স্বামীর গলা কেটে রক্ত বের হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। সেই সঙ্গে আহতের খোঁজখবর নিই। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে স্ত্রী দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’