বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের সময় রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি কাউকে সন্দেহ হলেই তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে নিরাপত্তা ব্রিফিংকালে তিনি মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বিজয় দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অনেক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে। সকল নাগরিক এসব উৎসবে শামিল। তাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
‘নিরাপত্তার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সন্দেহ হলে প্রতিটি ব্যক্তি ও যানবাহন তল্লাশি করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিজয়ের মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও অতিথিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকব আমরা, এ ডিউটির গুরুত্ব সর্বাধিক।
‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন পুলিশের জন্য অহংকার, মর্যাদা ও সম্মানের। তাই অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। শতভাগ সতর্কতায় কাজ করতে হবে।’
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে নিরাপত্তা বিফ্রিংকালে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ লাইনসের শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে এ ব্রিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃষ্ণ পদ রায়, ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, এ কে এম হাফিজ আক্তারসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর ২১টি পয়েন্টে ডাইভারশন রেখে ১৬ ডিসেম্বর ১২টি পয়েন্টে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া হবে। এই পয়েন্টগুলো থেকে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যেতে দেয়া হবে না।
এদিন যেসব এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ভিন্ন পথ ধরতে বলা হয়েছে, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যেতেও পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।