করোনা পরীক্ষায় ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিনকে কেন জামিন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
জেকেজির ডা. সাবরিনা শারমিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালতে সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।
সাবরিনা ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, জেবুন্নেসা ও শফিকুল ইসলাম রোমিও।
গত বছরের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। এর আগে ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
এই মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূল হোতা এবং বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়া প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।