বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফরিদপুরে থানায় হামলা: দুই মামলায় আসামি ৪০০

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৫১

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার জানান, পুলিশের করা মামলায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

অনুমতি না থাকায় ফরিদপুরের কানাইপুরে মাহফিলে বিতর্কিত বক্তা আবু ত্বহাকে ওয়াজ করতে না দেয়ায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আটজনের নাম উল্লেখসহ এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪০০ জনকে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ এবং থানা ভবনের মালিক নান্নু শেখ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় সোমবার রাতে মামলা দুটি করেন।

মামলায় কর্তব্যরত তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করা, হাইওয়ে থানা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার।

তিনি জানান, পুলিশের করা মামলায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আরেকটি মামলা করেছেন হাইওয়ে থানা ভবনটির মালিক নান্নু শেখ। হামলার সময় তার ব্যক্তিগত একটি মাইক্রোবাস ও ভাড়ায় চালিত একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। ওই মামলায় ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, দুটি মামলা হলেও এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান চলছে।

প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরের জুট মিল মাঠে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মারকাযুত তাকওয়া ইসলামি মাদ্রাসা ও সরদার বাড়ি জামে মসজিদের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহফিল মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, প্রশাসনের আপত্তির কারণে আবু ত্বহা বক্তব্য দেবেন না। একপর্যায়ে ওয়াজ মাহফিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণায় শ্রোতাদের কিছু অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা পাশের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে করিমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করেন। তারা ইটপাটকেল ছোড়েন এবং ফাঁড়িতে থাকা পুলিশের দুটি গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্সের কাচ ভাঙচুর করেন।

পরে ফরিদপুর থেকে দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের গুলি ছুড়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিভাগের আরো খবর