বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এফবিসিসিআই'র বিজয় সম্মাননা পেল ৯ সংগঠন

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৪

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের আজকের পর্যায়ে আসার পেছনে সম্মাননাপ্রাপ্ত সংগঠনগুলোর অবদান অনেক। তাদেরকে এই সম্মাননা দিতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করছি।’ ’

বিজয় সম্মাননা পেল মুক্তিযুদ্ধকালীন ও স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখা ৯ সংগঠন। সম্মাননা বিজয়ী সংগঠনগুলো হলো- ছায়ানট, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, কচি-কাঁচার মেলা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও প্রজন্ম ৭১।

‘বিজয়ের ৫০ বছর: লাল-সবুজের মহোৎসব’ আয়োজনের ১৪তম দিনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এই সম্মাননা দিয়েছে।

মঙ্গলবার শহীদ বৃদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর হাতিরঝিলে এম্ফিথিয়েটারে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী এসব সংগঠনের নেতাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাপত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সম্মাননা গ্রহণ করেন ছায়ানটের পক্ষে সংগঠনটির সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম (শাকিল), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আলম তপন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গোলাম মোহাম্মদ ইদু, খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামাল চৌধুরী ও শমী কায়সার, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব কামাল বায়েজীদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নাসির উদ্দিন ইউসুফ, কচি-কাঁচার মেলার সহ-সভাপতি আল্পনা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুঈদ চৌধুরী ওয়ালিদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের এবং প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময়, সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস।

সংগঠনের নেতারাএ সময় এফবিসিসিআই’র প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে ভবিষ্যতেও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নতির স্বপ্ন দেখে সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু। যখন বুঝলেন বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতিতে স্বাধীনতার বিকল্প নেই, তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘একাত্তরের এই দিনে আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। ঘাতকরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে হত্যা করতে; কিন্তু তারা জানে না ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়, ব্যক্তির আদর্শকে নয়।’

সভাপতির বক্তব্যে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জন্য এক বেদনার অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই দিনে। কিন্তু ঘাতকদের পরিকল্পিত চক্রান্ত সফল হয়নি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।

‘সংগঠনগুলোকে এই সম্মাননা দিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। বাংলাদেশের আজ এই পর্যায়ে আসার পেছনে সম্মানাপ্রাপ্ত সংগঠনগুলোর অবদান অনেক।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই দিনে আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছেন সেসব মানুষ যাদের জন্য আমরা পেয়েছি আজকের এই লাল-সবুজ পতাকা।’

এ বিভাগের আরো খবর