বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুন করে পাহাড়ে পুঁতে রাখা হয় অটোচালককে

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৯

জামালপুর র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক মো. রুকনুজ্জামান বলেন, ‘ছিনতাই করতে যাত্রীবেশে অটোতে উঠে হোসেন আলীকে গারো পাহাড়ে নিয়ে যান তারা। সেখানে সুমেলের বাড়িতে নিয়ে তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখেন। কিছু দূরে নিয়ে অটোরিকশাটি ফেলে রাখেন।’

শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে নিখোঁজ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের নওকুচি এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে র‍্যাব।

নিহত ৩৫ বছর বয়সী হোসেন আলী শ্রীবরদী পৌর এলাকার সেখদি গ্রামের। তিনি ১৮ দিন আগে নিখোঁজ হন।

জামালপুর র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক মো. রুকনুজ্জামান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হোসেনের ভাই কাশেম আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন হোসেন। এরপর আর ফিরে আসেননি।

‘আমরা এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানায় ২৯ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। পরে পুলিশ রাংটিয়া এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। তবে গাড়ির ব্যাটারি ছিল না। আমরা বিষয়টি ১০ ডিসেম্বর র‍্যাবকে জানাই।’

জামালপুর র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক মো. রুকনুজ্জামান জানান, জিডির পর র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের নওকুচি থেকে সুমেল রানা নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যে সুজন নামে আরেক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই চালককে হত্যা করে পাহাড়ে পুঁতে রাখার কথা জানান।

র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘ছিনতাই করতে যাত্রীবেশে অটোতে উঠে হোসেন আলীকে গারো পাহাড়ে নিয়ে যান তারা। সেখানে সুমেলের বাড়িতে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরে সুমেলের বাড়ির পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয় হোসেনকে।

‘অটোটি বিক্রি করতে না পেরে ব্যাটারিটি ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা। সেই টাকা নিজেরা ভাগ করে নেন।’

‘আমাদের তদন্ত অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।’ বলেন তিনি।

শ্রীবরদী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেব আলী জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সামান্য ব্যাটারির জন্য এভাবে মানুষ খুন করছে। তাদের এমন শাস্তি দেয়া হোক যেন এ ধরনের অপরাধ আর কেউ করার সাহস না পায়।’

হোসেনের ভাই কাশেম বলেন,‘আমার ভাইয়ের দুটি সন্তান। আমার বাবা-মা নেই। এখন এ সন্তান দুটিকে কে দেখবে। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর