চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বাবা-ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আসামিরা হলেন কামাল উদ্দিন ও তার ছেলে নেজাম উদ্দিন।
কালীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মঙ্গলবার। যদিও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোমবার।
তিনি জানান, বাঁশখালী আমলি আদালতে সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের হাজির করা হলে বিচারক মাইনুল ইসলামের তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর বৈদ্যুতিক ফাঁদে হাতিটি মারা যাওয়ার পর বাবা-ছেলে মিলে মাটিচাপা দেন। পরে বন বিভাগ থেকে লোক গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং নমুনা সংগ্রহ করেন।
‘এই ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর বাঁশখালী আদালতে দুই জনকে আসামি করে মামলা করেন কালীপুর রেঞ্জের সাধনপুর বিট কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। পরে সোমবার দুই আসামিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।’
এর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা করে বন বিভাগ।
পিওআর (প্রসিকিউশন অফেন্স রিপোর্ট) মামলাটি গত ৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন আদালতে করা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, নেছার উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন ও আমান উল্লাহ। তারা সবাই সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, হাতি তফশিল-১ ভুক্ত প্রজাতির অন্তর্গত। যদি কেউ হাতি হত্যা করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে তাকে ২ থেকে ৭ বছরের জন্য অথবা ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা যেতে পারে। যদি এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হয়- তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ ১৫ বছর হবে অথবা ১৫ টাকা লাখ জরিমানা করা হবে।