১১ বছর আগে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকের পদে চাকরির আশ্বাসে ঘুষ নেয়ার মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঘুষ দেয়ায় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শরীফুল ইসলাম।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আনোয়ার হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি জানা যায়, ২০১০ সালে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকের পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন তিনি। চাকরি পাওয়ার আশায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে পিএটু পরিচালক ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জাহাঙ্গীর আলমের মামাতো ভাই। ওমর আলীকে জানানোর পর তিনি বিষয়টি নিয়ে আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারেরর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মামলায় বলা হয়, তখন আনোয়ার হোসেন বখতিয়ার জানান সাত লাখ টাকা দিলে চাকরি হয়ে যাবে। কথা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে দুই দফায় সাত লাখ টাকা দেন। পরে চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম আনোয়ার হোসেনকে টাকা শোধের জন্য চাপ দেন। তিনি দিই-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকেন।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন সোনালি ব্যাংক কর্পোরেট শাখা রাজশাহীতে ওমর আলীর মাধ্যমে এক লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ছয় লাখ টাকা আনোয়ার হোসেন ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর পরিশোধের বিষয়টি আসামিরা স্বীকার করেন।
এই ঘুষের লেনদেনের ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন দুই জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট মতিঝিল থানায় মামলা করেন। একই ব্যক্তি মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।