যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কেও কোনো প্রভাব পড়বে না মনে করছেন তিনি।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাবের সাত বর্তমান ও সাবেক কমর্কতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগ ও রাজস্ব বিভাগ আলাদা আলাদা করে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক তথা আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তফা সরওয়ার, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও আনোয়ার লতিফ খান এবং বাহিনীটির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।
এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করছি। হঠাৎ করে কেন তারা নিষেধাজ্ঞা দিল এটা নিয়ে ওদের সঙ্গে আলোচনা করব।
‘ওদের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এর অনেক নজির আছে। ওনাদেরও অনেক পরিপক্ব ও জ্ঞানী লোক আছেন। তারা যাতে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আমরা সেই প্রচেষ্টাই চালাব। আর এ সিদ্ধান্তে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
র্যাবের বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি দেখভালের জন্য তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটি দুঃখজনক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমাকে আলোচনা করে একটি করে উত্তর দেয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। হুট করে উত্তর দেয়া ঠিক হবে না।
‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক নিখোঁজ হয়। সেখানেও বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে যারা এসব করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দেয়ার কথা আমি কোনো দিন শুনিনি।’