বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা চায় পরিবার

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৩৭

তৌহিদ রেজা নূর বলেন, ‘একটা স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড আমরা পেয়েছি। যা পাই নাই সেটি হচ্ছে স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ড, যে স্বপ্ন নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল একটা অসাম্প্রদায়িক সমাজ, একটি বৈষম্যহীন সমাজ তৈরি হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ তৈরি হবে। সেই জায়গাতে আমাদের অনেক বড় ঘাটতি রয়ে গেছে।’

দেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের তালিকা চান তাদের পরিবার। একই সঙ্গে এই তালিকা প্রকাশে এত দেরি হচ্ছে কেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

মঙ্গলবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সন্তানরা রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। এসময় প্রজন্ম-৭১ এর ব্যানারে স্মৃতিসৌধের সামনে মানববন্ধন করে তারা এ দাবি জানান।

শহীদ মুকসদ আলীর মেয়ে তাহমিনা বলেন, ‘৫০ বছর আগে দেশে জেনোসাইড হয়েছিল। এদেশ স্বাধীন হয়েছে। তখনই আমরা জানি আমরা বিজয়ী জাতি। তবে আমাদের কিছু কাজ বাকি আছে। সেই কাজের মধ্যে আমাদের সবার প্রথমে উচিত মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের খুঁজে বের করা ও তালিকা তৈরি করা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সঠিক ইতিহাস রেখে যাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এই ৫০ বছর এমনি এমনি বড় হইনি। ১৯৭১ সালে আমাদের বাবারা যুদ্ধে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন। ওই কাজ কিন্তু এগিয়ে নিয়ে গেছে এই শহীদ পরিবারের এবং আমাদের মায়েরা। এই সংগ্রামী পরিবার ও আমাদের মায়েদের কোনো চাওয়া নেই।

‘শুধু একটাই চাওয়া, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্মরণ রাখার জন্য একটা তালিকা করা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের স্বীকৃতি দেয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি আদায় না হবে আমরা পথ ছাড়ব না।’

শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন ছেলে তৌহিদ রেজা নূর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড আমরা পেয়েছি। যা পাই নাই সেটি হচ্ছে স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ড, যে স্বপ্ন নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল একটা অসাম্প্রদায়িক সমাজ, একটি বৈষম্যহীন সমাজ তৈরি হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ তৈরি হবে। সেই জায়গাতে আমাদের অনেক বড় ঘাটতি রয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি সাম্প্রদায়িক শক্তির নানা ধরনের আস্ফালন। যারা ১৯৭১ সালে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল সেই শক্তি তাদের পক্ষের আন্তর্জাতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জেনোসাইড পিষ্ট সমাজটাকে গ্রাস করার চেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগণ্য নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদেরকে আমরা হত্যার শিকার হতে দেখেছি। শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি যেন না থেমে বেগবান হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখাটা জরুরি।’

১৯৭১ সালের নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে একটি সুস্পষ্ট জেনোসাইড উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পর বাংলাদেশের সকল লোকের যেটা দাবি তোলা দরকার তা হচ্ছে, ১৯৭১ সালে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল এটি একটি সুস্পষ্ট জেনোসাইড। এই জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দরকার। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে প্রত্যেকের এটি স্বীকৃতি দিতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে এই জেনোসাইডের একটি সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা।’

পাকিস্তানিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে স্বীকার করতে হবে যে ১৯৭১ সালে আমরা যা করেছিলাম, তা জেনোসাইড করেছিলাম। আজকে পাকিস্তানের যারা বসবাস করছে তারা তাদের পূর্বপুরুষের দায় কেন নেবে? তারা এই দায় বহন না করে তারা স্বীকার করবে যে তারা জেনোসাইড ঘটিয়েছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর